গির্জার ঘণ্টাধ্বনির পরিবর্তে অবরুদ্ধ গাজায় এখন বোমার বিকট শব্দ। মুহুর্মুহু হামলায় কেঁপে উঠছে পুরো গাজা। ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। যিশুখ্রিষ্টের জন্মভূমিতে খ্রিষ্টধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনেও অর্থাৎ স্থানীয় সময় রোববার বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির
হামাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ ওই অঞ্চলে অসংখ্য পরিবার বাস করতো।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদ্রা বলেছেন, গাজার একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক ডজন আহত ব্যক্তিকে কাছাকাছি আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিবিসির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে- কিছু শিশুর মুখ রক্তে রঞ্জিত। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যাগে স্তূপীকৃত করে নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে নিহত হন ১ হাজার ১৩৯ জন। আহত হওয়ার সংখ্যা ৮ হাজার ৭৩০। এ হিসাব ইসরায়েল সরকারের।
হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। মাঝে যুদ্ধবিরতির কয়েক দিন বাদে গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা থেকে মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির-কিছুই বাদ যায়নি।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর বেশিরভাগ নারী ও শিশু। উদ্বাস্তু হয়েছে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৮ লাখের বেশি।
এ পরিস্থিতিতে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
পাঠকের মতামত